Posts

Showing posts from March, 2024

টু ফাইভ এইট জিরো -- ২

মেয়েটা তখনও দাঁড়িয়ে আছে, আমি অবাক হয়ে সেদিকে তাকিয়ে রইলাম৷ আমার উচিৎ ছিল কল দিয়ে নিজের টিমের সাহায্য কামনা করা। কিন্তু হাত পা কেমন অবসের মতো হয়ে গেছে তাই তাকিয়ে থাকা ছাড়া কিছু করতে পারিনি। তাইশা আবার বললো, - আপনি পুলিশের ইনফর্মার হিসেবে কাজ করেন তাই না? নাকি অন্য কোন পদবি? আমি বললাম, - আমার সঙ্গে এরকম করার ফলাফল কিন্তু ভালো হবে না তাইশা। - তো কি করবো? আপনি আমাকে ধরার জন্য ফাঁদ পেতে বসে থাকবেন। আর আমি নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা না করে সবকিছু জেনেও ফাঁদে পা দেবো। এটা ভাবলেন কীভাবে? - অন্যায় করে কেউ বাঁচতে পারে না। - মরে গেলে তখন দেখা যাবে। আমি জীবিত অবস্থায় নিজেকে বিড়াল বানাতে চাই না। মরার পরে আমার সম্পর্কে মানুষ কে কি বলে এসবে আমার কোনো চিন্তা নেই। বললাম, - নিয়াজ হাসানকে কেন মেরেছেন? - পা!পের শা!স্তি দিতে। - আর আপনার স্বামীকে? তাকে কেন মারলেন? - তাকে আমি মারিনি, সে সত্যি সত্যি অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। আমি আর কিছু বলতে পারছিলাম না। শরীরের মধ্যে তখন যন্ত্রণার কাতরানি। হঠাৎ করে দেখি তাইশার কাছে আরেকটা মানুষ এসেছে। সেই লোকটা এসেই বললো, - আমি ভালো করে জানি লোকটা একা এখানে আসেনি। নিশ্চয়ই তাকে সাপোর্

টু ফাইভ এইট জিরো -- ১

বাড়িওয়ালা বললেন, তুমি যার দিকে প্রতিদিন তাকিয়ে থাকো, সে আমার একমাত্র মেয়ে, তবে বিধবা। বিয়ের আটদিন পরে স্ট্রোক করে ওর স্বামী মারা গেছে। এখন চুপচাপ আর শুনশান নীরবতা হচ্ছে ওর প্রিয় খুব প্রিয়। বুকের মধ্যে ধাক্কা লাগলো যেন। মেয়েটা চমৎকার সুন্দরী, রোজ সকালে তাকে ছাঁদে দেখি৷ আবার সন্ধ্যা বেলা থেকে গভীর রাত অব্দি ছাদের উপর পায়চারি করে। কখনো সাহস করে কথা বলতে যেতে পারিনি। অবশ্য আমি এ বাসায় ভাড়ায় উঠেছি মাত্র সপ্তাহ খানিক আগে। এ বাসায় আমি ভাড়া নেবার একটা বড় কারণ আছে। পেশাগত কারণেই এখানে আসা, কিন্তু কেন এসেছি সেটা এরা কেউ জানে না। বললাম, - আপনি তাকে আবার বিয়ে দেবার চেষ্টা করে দেখেননি? নাকি সবকিছু তার নিজের সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন? - তাইশা (আঙ্কেলের মেয়ে) একটা ছেলেকে পছন্দ করতো। তাইশা তাকেই বিয়ে করতে চেয়েছিল। কিন্তু আমার কাছে সেই ছেলেকে নিজের একমাত্র মেয়ের জন্য যোগ্য মনে হয়নি। তাই তড়িঘড়ি করে আমি অন্য যায়গা তাইশার বিয়ে ঠিক করি। - আপনার তো আর দ্বিতীয় কোনো মেয়ে নেই তাই না আঙ্কেল? - হ্যাঁ! তাইশা আমার একমাত্র মেয়ে। তাইশার বড় দুই ভাই স্পেনে থাকে। আমার মেয়েকে যতটা রাগি মনে করো, সে কিন্তু ততটা রাগি